শিরোনাম:

গাইবান্ধায় নদীতে ভেসেছিল শিক্ষিকার মরদেহ

গাইবান্ধায় নদীতে ভেসেছিল শিক্ষিকার মরদেহ

 

মানিক সাহা, গাইবান্ধা:

নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া এক শিক্ষিকার মরদেহকে কেন্দ্র করে শহরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘাঘট নদীর পূর্ব কোমরনই মিয়াপাড়া এলাকায় ভেসে ওঠে গাইবান্ধা এন এইচ মডার্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তাসমিন আরা নাজের মরদেহ।

স্থানীয়রা জানায়, ভোরে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে প্রথমে মরদেহটি দেখতে পান জেলেরা। পরে খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়।

এদিকে, একজন শিক্ষক ও সমাজে সম্মানিত ব্যক্তিত্বের এমন মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা—তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র আলোচনার ঝড় বইছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই শিক্ষিকার স্বামী ও পিতার বাড়ির সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন দাবী করেছে তার বাড়ি গাইবান্ধা সদরের মিয়া পাড়ায়।

গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কাপ্তাইয়ে বন্যহাতি আক্রমণে ৬ মাসে ৩ জনের মৃত্যু, সোলার ফেন্সিং ও সতর্কতায় বন বিভাগের কড়া নজরদারি

গাইবান্ধায় নদীতে ভেসেছিল শিক্ষিকার মরদেহ

 

রিপন মারমা, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধিঃ

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় বন্যহাতির আক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। কখনো রাতে, আবার কখনো দুপুরে লোকালয়ে নেমে আসছে বন্য হাতির পাল। হাতির আতঙ্কে দিনরাত উদ্বেগে সময় কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যানবাহন চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে, গাড়ি চালকরাও রয়েছেন আতঙ্কে।শুধু সাধারণ মানুষ নয়, প্রশাসনের কর্মকর্তারাও হাতির আতঙ্কে রয়েছেন। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে কাপ্তাই-আসামবস্তী সড়কে বন্য হাতির উপস্থিতির কারণে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

বন বিভাগের তথ্যমতে, গত ৬ মাসে হাতির আক্রমণে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এই প্রাণহানি ঠেকাতে এবং পর্যটকসহ স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাপ্তাই বন বিভাগ ‘সোলার ফেন্সিং’ সচল করার পাশাপাশি সড়কে রং দিয়ে বিশেষ সতর্কতা সংকেত ও সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে।কাপ্তাই-আসামবস্তী সড়ক এবং কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় হাতির আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। গত নভেম্বর মাসে একই দিনে মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুই নারী হাতির আক্রমণে নিহত হন। এর আগে বছরের শুরুতে আরও একজন ব্যক্তি হাতির কবলে পড়ে প্রাণ হারান। মূলত সন্ধ্যার পর এবং ভোরে হাতির পাল লোকালয়ে ও প্রধান সড়কে চলে আসায় এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে।সোলার ফেন্সিং ও আধুনিক সুরক্ষা হাতিকে লোকালয় থেকে দূরে রাখতে বন বিভাগ কাপ্তাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে ৮ কিলোমিটার ব্যাপী সোলার ফেন্সিং (Solar Fencing) কার্যক্রম জোরদার করেছে।সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে এই ফেন্সিংয়ে মৃদু বিদ্যুৎ প্রবাহিত করা হয়, যা হাতিকে আঘাত না করে কেবল ভয় দেখিয়ে বনে ফিরিয়ে দেয়।যান্ত্রিক ত্রুটি সরিয়ে বর্তমানে ফেন্সিংটি পুরোদমে সচল রয়েছে, যা বন সংলগ্ন বসতিগুলোর জন্য ঢাল হিসেবে কাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসামবস্তী-কাপ্তাই সড়কের রাইন্যাটুকুন এলাকা, প্রশান্তি পার্ক এলাকা, সীতা পাহাড়, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের প্রবেশমুখ, নৌবাহিনী সড়ক, কামিল্লাছড়ি-আসামবস্তি, রাইখালি, কারিগর পাড়া, খন্তাকাটা ও ব্যাঙছড়ি এলাকার বিভিন্ন পাহাড়ে হাতির খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় বন্য হাতির পাল খাদ্যের সন্ধানে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একেক সময় একেক জায়গা দিয়ে তারা চলাচল করছে।

কাপ্তাই একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা হওয়ায় সড়কে রং ও পর্যটকদের জন্য সতর্কতা বহিরাগত পর্যটকদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। যেসব স্থান দিয়ে নিয়মিত হাতি পারাপার হয় (এলিফ্যান্ট করিডোর), সেসব স্থানে উজ্জ্বল রঙের সংকেত ও সতর্কতা হাতি ও মানুষের সংঘর্ষ এড়াতে কাপ্তাই-আসামবস্তী ও নৌবাহিনীর প্রধান সড়কের পিচঢালা পথে দিয়ে বড় বড় অক্ষরে ‘সাবধান, হাতি চলাচলের পথ’ লিখে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের উদ্দেশ্যে বন বিভাগ থেকে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। হাতি দেখলে হর্ন না বাজাতে, ছবি তুলতে বা ফ্ল্যাশ ব্যবহার না করতে এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।বনের প্রবেশমুখ ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নতুন করে বড় বড় সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: ওমর ফারুক স্বাধীন জানান, “আমরা মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সোলার ফেন্সিং নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে এবং সড়কে রং দিয়ে চিহ্নিত করার ফলে চালকরা এখন অনেক বেশি সচেতন। তবে পর্যটকদের বনের ভেতরে একা না যাওয়ার জন্য এবং নির্ধারিত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

“পার্বত্য চট্টগ্রামের এই প্রাকৃতিক পরিবেশে হাতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বন বিভাগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সচেতনতাই এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কায়াকিং করতে গিয়ে কাপ্তাই হ্রদে ডুবে এক পর্যটকের মৃত্যু

গাইবান্ধায় নদীতে ভেসেছিল শিক্ষিকার মরদেহ

 

এম এস শ্রাবণ মাহমুদ :

কায়াকিং করতে গিয়ে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ডুবে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ‘২৫ খ্রিঃ সকাল ৮ঃ৩০ মিনিটের সময় জেলার বালুখালী ইউনিয়নের “স্বর্ণদ্বীপ আইল্যান্ড”নামের রিসোর্টের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পর্যটকের নাম মোঃ ইফরাত (২৬) তিনি রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার এলাকার মোঃ ওয়াসিমের ছেলে। ওই রিসোর্টেই তিনি বন্ধুদের সঙ্গে গঘুরতে এসেছিলেন।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ইফরাত তাঁর ছয় বন্ধুর সঙ্গে হ্রদে কায়াকিং করতে নামেন। একপর্যায়ে তিনি উল্টে পানিতে পড়ে যায়। তাঁর পরনে লাইফ জ্যাকেট ছিল না।

খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিস। পরে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের সময় ইফরাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করে ফায়ার সার্ভিস।

এ-সময় রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃজসিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

হেডম্যান পাড়া কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার উদ্যােগের মহা আচরিয়া গুরু পূজা অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধায় নদীতে ভেসেছিল শিক্ষিকার মরদেহ

 

চাইথোয়াইমং মারমা, বিশেষ রিপোর্টার:

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলা রাজস্থলী উপজেলা ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওর্য়াডের ঐতিহ্যের হেডম্যানপাড়া কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে মহা আচরিয়া গুরু পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ডিসেম্বর শনিবার ভদন্ত নাইন্দাওয়াইংসা মহাথের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মহাদু:খী ছোয়াইং পরম পূজনীয় মহাসংঘনায়ক ভদন্ত আসাবা ভিক্ষু, ডাকবাংলা পাড়া কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে অধ্যক্ষ ভদন্ত ঞানাওয়াইসা মহাথের, নাইক্যছড়া কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে অধ্যক্ষ উ. খেমাচারা মহাথেরো, বান্দরবান উজানি পাড়া কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে অধ্যক্ষ ডক্টরেট সুমেনা মহাথের সহ ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দায়ক আদোমং মারমা, হেডম্যান পাড়া কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি সাধারণ সম্পাদক মংসাথোয়াই মারমা, দায়ক সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী পৌরসভা মংসুইখই মারমা, প্রবীন মাষ্টার দায়ক মংহলাঅং, রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি দায়ক চাইথোয়াইমং মারমা, সাবেক মেম্বার সুইসাহলা চৌধুরী, বান্দরবান জেলা পরিষদ উপসহ-প্রকৌশলী মংওয়াইচিং মারমা, উন্নয়ন বোর্ড উপজেলা প্রকল্পের সমন্বয়ক থুইসাচিং মারমা, মংচিং চৌধুরী সাবেক চেয়ারম্যান, ঞোমং মারমা চেয়ারম্যান সহধর্মিণী ক্রানুবাই চৌধুরী, দায়িকা উসাবাই মারমা দায়িকা মিনু মারমা, উমাচিং মারমা প্রমূখ।

সকালে বিভিন্ন প্রান্তের হতে আসা গুরুভান্তেদের ভিক্ষুদের অথিদেরকে দায়ক দায়িকারা সকলে মিলে দু’হাত দিয়ে প্রণামের মধ্যে সু-স্বাগতম শুভেচ্ছা অভ্যর্থণা জানানো হয়েছে।

হেডম্যান পাড়া কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে দায়ক-দায়িকারা সকলে মিলে এ আচরিয়া গুরু পূজা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। প্রতিটি পাড়া বাড়িতে যার যার আহার বা ছোয়াইং দান, আয়োজন জন্য লটারী মাধ্যমে ভিক্ষুকে নিয়ে বাড়িতে দুপুরে খাবারে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কল্পতরু প্রদীপ জ্বলে পূজা ফলফ্রুট পূজা দান সহ টাকা পয়সা দান দাযক দায়িকারা সকলে মিলে দান করতে দেখা গেছে।

গৌতম বুদ্ধের আর্দশের রীতিনীতি শ্বরণ আর্দশের বুদ্ধ জাতি মারমা জনগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের গুরু ভান্তেদেরকে মহাদু:খী ছোয়াইং দান ও আচরিয়া গুরু পূজা করে থাকে পার্বত্য চট্রগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলা রাজস্থলী উপজেলা বাঙ্গালহালিয়া হেডম্যান পাড়া কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে ২য় তম গুরু পূজা পালিত। এ আচরিয়া গুরু পূজা অনুষ্ঠানে ৩ পার্বত্য জেলা হতে অতিথি বিহার অধ্যক্ষ প্রধান ১৩৭ জন উপস্থিত ভিক্ষু এবং শ্রমণ ৩০/ ৪০ জন অংশ গ্রহণ করেন।

বিকাল ৩ টায় বৌদ্ধ ধর্মের দেশনায় প্রদান জাতক দায়ক দায়িকাদের উদ্দেশ্য রেইচা বৌদ্ধ বিহার ভিক্ষু বলেন, বুদ্ধের ধর্মের সুখ শান্তি জন্য বৌদ্ধ ধর্মের রিতীনিতী দান শীল ভাবনা পালনীয় উত্তম মংগল কল্যাণের বয়ে আনে। শেষে দায়ক দায়িকারা গৌতম বুদ্ধের কাছে পঞ্চশীল প্রদীপ জ্বলে পূজা ফুল পূজা মধ্যে দিয়ে গুরুপুজা আচরিয়া অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন। জগতে সকল প্রাণী সুখী হউক। সব্বে সত্তা সুখীতা হোন্ত।

×