হাদির উপর গুলিবর্ষণের অপরাধে আইনের কাঠগড়ায় আনা হবে ; ধৈর্য্য ও অস্থিতিশীল রক্ষায় দেশ গঠনের আহ্বান – – – প্রধান উপদেষ্টা
সিএইচটি বার্তা ডেস্ক :
রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে শোকার্ত সবাইকে ধৈর্য ধারণ করা আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সেই সঙ্গে, কোনো ধরনের ‘অপপ্রচার ও গুজবে’ কান না দেওয়া এবং হঠকারীমূলক সিদ্ধান্ত না নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
“এই শোকের মুহূর্তে আসুন, আমরা শহিদ শরিফ ওসমান হাদির আদর্শ ও ত্যাগকে শক্তিতে পরিণত করি। ধৈর্য ধারণ করি, অপপ্রচার ও গুজবে কান না দিই এবং যে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকি।
যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চান, তাদের ফাঁদে পা না দিয়ে আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে অবিচল পদক্ষেপে এগিয়ে যাই,” ভাষণে বলেন প্রধান উপদেষ্টা। “এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো হবে না,” বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি আরও বলেন, “আমি আবারও স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ওসমান হাদি ছিলেন পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের শত্রু। তাঁর কণ্ঠ স্তব্ধ করে বিপ্লবীদের ভয় দেখানোর অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। ভয়, সন্ত্রাস কিংবা রক্তপাতের মাধ্যমে এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। নিহত মি. হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।।
* দেশকে অস্থিতিশীল করার ‘ফাঁদে’ পা না দিয়ে ধৈর্য ধরার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
* এক ঘন্টা আগে হাদির মৃত্যুতে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আগামী শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে অর্ন্তবর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে একথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রেডিও এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, আগামী শনিবার দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এছাড়া শুক্রবার বাদ জুমা দেশের বিভিন্ন মসজিদে হাদির আত্মার শান্তি কামনা বরে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হবে। সেই সঙ্গে, অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয় গুলোতে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
















